সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

বেদ / Vedas

আমরা পূর্বেই  আলোচনা করেছি আমাদের সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থ গুলিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় শ্রুতি শাস্ত্র ও স্মৃতি শাস্ত্র।

এই গ্রন্থগুলিতে আলোচনা হয়েছে। ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও পুরাণ এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে। 

এই গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

আজ আমরা বেদ সমন্ধে আলোচনা করবো। 

প্রথমেই  জেনে নেবো  বেদ কী ?

বেদ' শব্দটি এসেছে সংস্কৃত 'বিদ' ধাতু থেকে, যার অর্থ জানা। তাই 'বেদ' শব্দটির অর্থ 'সর্বোত্তম জ্ঞান'। 

বেদকে চারভাগে ভাগ করা হয়। 

 যথা;-

  1.  ঋক্, 
  2. সাম, 
  3. যজুঃ, 
  4. অথর্ব।
ভারতীয় দর্শনের  বিভিন্ন সম্প্রদায় বেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ কোরেছেন। এই মাতানাসুরে তাদের মূলত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় যথা ;-

  1. "আস্তিক" - আস্তিক হলো যারা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে এবং বেদকেই তাদের শাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে। 
  2. "নাস্তিক" নাস্তিক হলো যারা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয় বলে মনে করে।  
 বলে রাখা ভালো আস্তিক বা নাস্তিক যাই বলো আমরা আমাদের যুক্তিযুক্ত চিন্তার  বাইরের কিছুই বিশ্বাস করিনা এটাই আমাদের সভাবগত বৈশিষ্ট। 

যদি বর্তমান সময়ের পরিপেক্ষিতে আস্তিক অথবা নাস্তিক কথার আলোচনা করা হয় তবে যে নিষ্কর্ষ পাওয়া যাবে  তা হলো , আমরা অথবা আমাদের প্রজন্ম কিছুই দেখিনি কিন্তু আমাদের ধর্ম গ্রন্থে যা উল্লেখ  তা সম্পূর্ণই আমাদের পূর্ব পুরুষদের অভিজ্ঞাতার ভিত্তিতেই লিপিবদ্ধ হয়েছে। 

তাই আমরা যদি আস্তিক এবং  নাস্তিক বিতর্ক ছেড়ে আমাদের ধর্ম গ্রন্থের জ্ঞান আয়ত্ব করি তাহলে আমাদের জীবন পথ সম্পূর্ণ রূপে সুগম ও সমৃদ্ধশালী হয়েউঠবে। 

কেননা হাজার হাজার বছর ধরে হাজারো বিতর্কের মধ্যে অস্তিতে রয়েছে তাতে নিশ্চয় কোনো না কোনো ক্ষমতা নিশ্চয় রয়েছে। 

যা সমন্ধে আমরা পরের ব্লগ বেদ  আলোচনাতে দেখবো , এত সময়  সঙ্গে দেবার জন্য ধন্যবাদ। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পর্ব - নং ০৬ সর্গ বলতে কি বোঝায় ?

যেমনটা আমি পঞ্চম পর্বে  প্রতিশ্রুতি দিয়েচলাম সর্গ , নরক  এবং পাতাল সমন্ধে আলোচনা করবো বলে , প্রথমেই  আলোচনা করবো সর্গ সমন্ধে।  সর্গ  বলতে কি...