বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

পর্ব - নং ০৬ সর্গ বলতে কি বোঝায় ?

যেমনটা আমি পঞ্চম পর্বে  প্রতিশ্রুতি দিয়েচলাম সর্গ , নরক  এবং পাতাল সমন্ধে আলোচনা করবো বলে , প্রথমেই  আলোচনা করবো সর্গ সমন্ধে। 

সর্গ  বলতে কি  বোঝায় ?

সর্গ বলতে বোঝায় পবিত্রতম স্থান যাহা নিমনে দেওয়া চিত্রর মাধ্যমে পরিখাঠামো টা প্রকাশ করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। 

সর্গ 

নরক 

পাতাল 

স্বর্গ  বলতে একটি ধর্মীয়, মহাজাগতিক স্থান যেখানে মনে করা হয়  দেবতা, দেব-দূত, আত্মা জাতীয় সত্তা,  পূজিত পূর্বপুরুষদের উত্স, রাজাসনে অধিষ্ঠিত। 

কিছু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী স্বর্গীয় সত্তারা পৃথিবীতে অবতরণ বা জন্মগ্রহণ করতে পারে, এবং পরকালে পার্থিব সত্তারা স্বর্গে গমন করতে পারে।

*****************************************

আমরা এই পর্বে দেখলাম সর্গ কাকে বলে ? আর পরের ক্রমাগত দুটি পর্বে আমরা আলোচনা করবো নরক আর পাতাল কাকে বলে ?

আর এই পর্বে সর্গ সমন্ধে যাহা প্রকাশ পায় তা হলো :-

০১. সর্গ একটি আনুমানিক কল্পিত স্থান যাহা আমরা অর্থাদ মানুষরা কখনো দেখেনি।

০২. সর্গে দেবতারা , দেবদূত এবং আমাদের পিতৃ পুরুষগন এর আত্মারা বাশ করে। 

০৩. আরো দেখলাম সর্গ থাকে তারা পৃথিবীতে অবতরণ এবং পুনরাগমন করতে পারে।

০৪. অতএব আমরা সবকিছু পর্যালোচনার মাধ্যমে যা বুঝতে পারলাম সেই হিসাবে সর্গ এমন একটি অবস্থা সেখানে একটি আত্মা পরমাত্মার সঙ্গে বিলীন হয়ে এক মাহাত্তার রূপ অর্জন করে।  

*****************************************

তাই সর্গ সমন্ধে আমরা ধর্ম আলোচনার মাধ্যমে জানলাম সর্গ ভৌতিক জগতে দৃশ্যমান নয় , আপনাদের সর্গ সমন্ধে কি মতামত কমেন্টসএর  মাধ্যমে জানবেন আর কোনো ত্রুটি থাকলেও জানাবেন যা আমি পরবর্তী সংস্করণে সমাধান করেদব। 

আরো একটা অনুরোধ রইলো আপনার প্রিয় বন্ধুবান্ধবদের শেয়ার করুন যার মাধ্যমে আমরা এক নবীন নির্মল সমাজ গঠন করতে পারি। 

এত সময় সঙ্গে দেবার জন্য ধন্যবাদ। 

পর্ব - নং ০৫ কিছু শুরু করার আগে গনেশ বন্দনা করার নিয়ম কে তৈরি করেছে এবং কেন ?

আপনারা হয়তো জানেন যে আমাদের পৌরাণিক কথা অনুযায়ী আমাদের বিশ্ব ভ্রাম্যান্ডোকে তিন  ভাগে বিভক্ত করা হয় যথা :-

০১. সর্গ 

০২. নরক 

০৩. পাতাল 

একবার সর্গের রাজা দেবরাজ ইন্দ্র এবং অন্যান্য দেবতারা  ত্রিদেব এর সম্মুখীন হন এবং ইন্দ্র প্রস্তাব রাখেন দেবরাজ হবার  কারণে তার পূজা  সর্বাগ্রে করানোর প্রস্তাব রাখেন এবং বহু  মতবাদের  মধ্যে প্রতিযোগিতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 প্রতিযোগিতা হলো সমস্ত সৃষ্টির তিনবার সম্পূর্ণ পরিক্রমা করে যে  বিজয়  হবে তার পূজা সর্বাগ্রে করা হবে । 

তখন সমস্ত ভগবানরা  তাদের  নির্দিষ্ট বাহন নিয়ে প্রক্রমা শুরু করলো  যেমন দেবরাজ ইন্দ্র ঐরাবত , কার্তিক ময়ূর, বরুন দেবতা মকর , কালদেব মহিষ ইত্যাদি এবং ভগবান গনেশ তার বাহন ইদুর নিয়ে পরিক্রমা শুরু করলো। 

প্রথমে সমস্ত দেবতারা তাদের নির্দিষ্ট বাহনের গতি বাড়াতে লাগলো , তখন ইঁদুর নিয়ে ভগবান গনেশ তার পিত মাতা ভগবান শিব মা পার্বতীর পরিক্রমা শুরুকরলো এবং বিজয় হলো। 

 ভগবান গনেশর এই কার্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে  দিলো  তার জন্য সমস্ত সৃষ্টি হলো তার মাতা পিত।

*********************************************

এই তৃতীয় কথার মাধ্যমে আমরা কিছু  নিবিড় চারিত্রিক গুণাবলী দেখতে পাই যথা :
০১. সর্বাচ পদ অর্জনকরি ও পরাস্ত হয়। 
০২. সবই মিলে যখন আলোচনা করা হয় তখন সঠিক সিদ্ধান্তে নির্ণয় সম্ভব। 
০৩. স্বাভাবিক দৃষ্টি কারো অভ্যান্তরিন ক্ষমতা পরিমাপ করতে পারেনা তার জন্য দূরদৃষ্টি প্রয়োজন।   
০৪. ক্ষমতার অহংকার পরাজয়ের কারণ। 

আপনারা যদি আরো কিছু জুড়তে চান অথবা কোনো ভুলত্রুটি থাকে কমেন্টস আর মাধ্যমে জানান , পরবর্তী সংস্করণে আপনাদের মতামত সুষ্ট হলে আমি এই ব্লগেই জুড়ে দেব।  
****************************************
এর পরের পর্বে আমরা সর্গ , নরক , এবং পাতাল সমন্ধে আলোচনা করবো  , আমার প্রচেষ্টা আপনাদের ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার এর মাধমে সবাইকে সাহায্য করুন, যাতে তাদের জীবন চলার পথ সুগম হয়। 
এত সময় সঙ্গ দেবার জন্য ধন্যবাদ। 



 

 

 

পর্ব - নং ০৪ কিছু শুরু করার আগে গনেশ বন্দনা করার নিয়ম কে তৈরি করেছে এবং কেন ?

 আমরা তৃতীয় পর্বে  প্রথমে  গনেশ বন্দনা হবার পিছনের কারণের একটি কথা সমন্ধে আলোচনা করেছি এখন দ্বিতীয় কথা সমন্ধে জানবো। 
দ্বিতীয়তঃ 
একবার দেবঋষি নারদ মহাদেব শিব এবং মা পার্বতীকে একটি ফল উপহার হিসাবে প্রদান করেন তখন শিব এবং পার্বতী পুত্র গনেশ এবং কার্তিক কে এই ফলের  বিশিষ্ট ধরণের গুনের কথা বলেন যে এই ফলটি একটি বিশেষ ফল যাহাতে অথই জ্ঞানের ভান্ডার রয়েছে আরো রয়েছে আমারত্তর  শক্তি।  কিন্তু এই ফল আমরা তাকেই প্রদান করবো যে এই ফল পাবার জন্য একটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে , প্রতিযোগিতা হলো সমস্ত সৃষ্টির তিনবার সম্পূর্ণ সৃষ্টির পরিক্রমা করে বিজয়  হতে হবে।  
ভগবান কার্তিক তার  বাহন ময়ূর নিয়ে প্রক্রমা শুরু করলো এবং ভগবান গনেশ তার বাহন ইদুর নিয়ে পরিক্রমা শুরু করলো। প্রথমে কার্তিক বাড়িয়ে পড়লো কেনোনা তার গতি বেশি এবং তখন ইঁদুর নিয়ে ভগবান গনেশ তার পিত মাতা ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পরিক্রমা শুরুকরলো এবং বিজয় হলো , এবং ভগবান গনেশ যুক্তি দিলো  তার জন্য সমস্ত সৃষ্টি হলো তার মাতা পিত। তাই আমরা যে কোনও উদ্যোগকে সফলভাবে শুরু করার এবং শেষ পর্যন্ত শেষ করার জন্য তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করে আমরা গনেশ পূজা করে থাকি।                                                                   **************************************** 






















































এই দ্বিতীয় কথার মাধ্যমে আমরা বহু নিবিড় চারিত্রিক গুণাবলী দেখতে পাই যথা :
০১. সন্তানের জন্য তার মাতা পিতাই সম্পূর্ণ সৃষ্টি।  
০২. শক্তির থেকে ভক্তি বড়ো। 
০৩. বুদ্ধির কাছে বল  দুর্বল। 
০৪. কাউকে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া মূর্খতার পরিচয়। 

আপনারা যদি আরো কিছু জুড়তে চান অথবা কোনো ভুলত্রুটি থাকে কমেন্টস আর মাধ্যমে জানান , পরবর্তী সংস্করণে আপনাদের মতামত সুষ্ট হলে আমি এই ব্লগেই জুড়ে দেব।  
****************************************
এর পরের পর্বে আমরা তৃতীয় প্রচলিত কথা সমন্ধে জানবো , আমার প্রচেষ্টা আপনাদের ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার এর মাধমে সবাইকে সাহায্য করুন, যাতে তাদের জীবন চলার পথ সুগম হয়। 
এত সময় সঙ্গ দেবার জন্য ধন্যবাদ। 


   



পর্ব - নং ০৩ কিছু শুরু করার আগে গনেশ বন্দনা করার নিয়ম কে তৈরি করেছে এবং কেন ?

 আমরা দ্বিতীয় পর্বে  দেখাচ্ছি কোনো কিছু শুরু করার  আগে গনেশ বন্দনা করার নিয়ম আছে , এখন প্রশ্নঃ  হলো কে এই নিয়ম  তৈরি করেছে এবং কেন ?
এ সমন্ধে  কিছু কথা প্রচিলিত আছে :-

*****************************************
প্রথমতঃ 
একবার জগৎমাতা পার্বতী  ভগবান গণেশকে  আদেশ করলেন তাঁর কক্ষগুলির প্রবেশদ্বার পাহারা দেওয়ার জন্য এবং যখন ভগবান শিব প্রবেশ করতে চাইলো  তখন গণেশ ভগবান এমনকি শিবকেও প্রবেশ করতে দেননি  মহাদেব শিব কে  প্রবেশ করতে না দেওয়ায়  ভগবান শিব ভগবান গণেশের মাথা কেটেছিলেন , এবং যখন মহামায়া  আদিশক্তি মা পার্বতী এই কথা জানতে পারলো তখন পুত্র গণেশকে পুনর্জীবিত করার  অনুরোধ করলো কিন্তু মহাদেব নিয়মের ব্যাতিক্রম করবেনা  বলে জানিয়ে দেন তখন পুত্র শোকে জগৎমাতা পার্বতী সমস্ত সৃষ্টি ধংস করার হুমকি দিয়েছিলেন।ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে পেরে মহাদেব শিব দৈব শক্তির দ্বারা এক হস্তী সাবকের  মাথা জুড়ে ভগবান গণেশকে পুনর্জীবিত করেন এবং বলেছিলেন যে সমস্ত পুজো শুরু হবে গনেশের নাম প্রার্থনা দিয়ে।

*****************************************
এই প্রথম কথার মাধ্যমে আমরা বহু নিবিড় চারিত্রিক গুণাবলী দেখতে পাই যথা :
০১. মায়ার মমতার কাছে সৃষ্টির কোনো নিয়ম তার সন্তানের উপরে নয়। 
০২. মা স্বামীকেও পরোয়া করেনা তার সান্তানকে বাঁচানোর জন্য। 
০৩. মা সমস্ত সৃষ্টিকে ধংস করে দিতেপারে তার সন্তানের প্রাণরক্ষার  জন্য।  
০৪. ভগবান গনেশের মতো আজ্ঞাকারী সন্তান হোলে বিধাতার নিয়মও পরিবর্তন হতে বাঁধা হয়। 

আপনারা যদি আরো কিছু জুড়তে চান অথবা কোনো ভুলত্রুটি থাকে কমেন্টস আর মাধ্যমে জানান , পরবর্তী সংস্করণে আপনাদের মতামত সুষ্ট হলে আমি এই ব্লগেই জুড়ে দেব।  
****************************************
এর পরের পর্বে আমরা দ্বিতীয় প্রচলিত কথা সমন্ধে জানবো , আমার প্রচেষ্টা আপনাদের ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার এর মাধমে সবাইকে সাহায্য করুন, যাতে তাদের জীবন চলার পথ সুগম হয়। 
এত সময় সঙ্গ দেবার জন্য ধন্যবাদ। 





সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

বেদ আলোচনা / Discuss the Vedas

আমরা গত ব্লগে দেখেছিলাম বেদ কি ?

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো বেদ এবং বেদের শ্রেণিবিন্যাস। 

বর্তমানে বেদের বিভাজন  দুই ভাগে করা হয়  যথা;-

  1.  ব্যাবহারিক 
  2. ও গাঠণিক
এই দুই বিভাজনে পদ্ধতিতেই বেদকে চার ভাগে বিভক্ত করা যায়। 

ব্যাবহারিক বিভাজন :-

ব্যাবহারিক বিভাজনগুলো যথাক্রমে 

  1. ঋক, 
  2. সাম, 
  3. যজু্ঃ 
  4. ও অথর্ব। 
যাহা বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি সংহিতা নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। 

এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত যথা ;-

  1. ঋগ্বেদ অংশে হোতার বা প্রধান পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
  2. যজুর্বেদ অংশে অধ্বর‍্যু বা অনুষ্ঠাতা পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
  3. সামবেদ অংশে উদ্গাতার বা মন্ত্রপাঠক পুরোহিত কর্তৃক গীত স্তোত্রগুলি সংকলিত হয়েছে। 
  4. অথর্ববেদ অংশে মারণ, উচাটন, বশীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রগুলি সংকলিত হয়েছে। 
বেদের প্রতিটি পদ মন্ত্র নামে পরিচিত। কোনো কোনো বৈদিক মন্ত্র আধুনিক কালে প্রার্থনা সভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়ে থাকে।

ঋগ্বেদ ;-

পবিত্র ঋগ্বেদ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীনতম বেদ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জীবিত ভারতীয় লেখা। এই গ্রন্থটি মূলত ১০টি পুস্তকে বিভক্ত যা ১,০২৮টি বৈদিক সংস্কৃত সূক্তের সমন্বয়। ঋগ্বেদে মোট ১০,৫৫২টি ‘ঋক’ বা ‘মন্ত্র’ রয়েছে।‘ঋক’ বা স্তুতি গানের সংকলন হল ঋগ্বেদ সংহিতা। ঈশ্বর, দেবতা ও প্রকৃতি বিষয়ক আলোচনা ঋগবেদে প্রাধান্য পেয়েছে।

যজুর্বেদ;-

  যজুর্বেদ হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ। যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। যজুর্বেদ হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ সামবেদ ও অথর্ববেদ সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়। 

সামবেদ;-

সামবেদ হল সংগীত ও মন্ত্রের বেদ।সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে।এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত।এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।গবেষকেরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। তবে এই বেদের যে অংশটির অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত রয়েছে, সেটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষার পরবর্তী-ঋগ্বৈদিক মন্ত্র পর্যায়ে রচিত। এই অংশের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দের মাঝামাঝি কোনো এক সময়। তবে সামবেদ যজুর্বেদ ও অথর্ববেদের সমসাময়িক কালে রচিত।

অথর্ববেদ ;-

অথর্ববেদ হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ‘অথর্বণ’  ও ‘বেদ’  শব্দ-দু’টির সমষ্টি। অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন। অথর্ববেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও প্রায় ৬,০০০ মন্ত্র আছে। অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলি নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত।এই গ্রন্থের দুটি পৃথক শাখা রয়েছে। এগুলি হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান। মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলি হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে ওড়িশা থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।










প্রত্যেকটি বেদ আবার চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত।

যথা ;-  বেদ আলোচনা 

  1.  সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), 
  2. আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), 
  3. ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) 
  4. ও উপনিষদ্‌ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)

 কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।


পতঞ্জলির মহাবৈশ্যের মতে, ঋগ্বেদের ২১টি শাখা আছে, অথর্ববেদের ৯টি শাখা আছে, যজুর্বেদের ১০১টি শাখা আছে, সামবেদের ১০০০টি শাখা আছে। অর্থাত্‍ বেদের সর্ব মট শাখা ১১৩১টি। এর মধ্যে মাত্র এক ডজন সহজলভ্য।


ii) ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ এবং সামবেদ অধিকতর প্রাচীন গ্রন্থ। এদের 'বিদ্যাত্রয়ী' বা 'বিজ্ঞানত্রয়ী' বলা হয়। এদের মধ্যে ঋগ্বেদ প্রাচীনতম। ঋগ্বেদ লিপিবদ্ধ করা হয় তিনটি দীর্ঘকালের ব্যবধানে। চতুর্থ বেদ হল অথর্ববেদ যা অপেক্ষাকৃত নবীন। ঋগ্বেদে আছে স্তুতি গান। যজুর্বেদে আছে আত্মত্যাগের নিয়মনীতি। সামবেদ সঙ্গীতমুখর। অথর্ববেদে আছে রোগ নিরাময়ের ফরমুলা।


iii) চারটি বেদ কখন লেখা হয়েছে সে-ব্যাপারে সর্বসম্মত কোনও মত নেই। আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ স্বামীর মতে, বেদ লেখা হয়েছিল কোটি কোটি বছর আগে।


বেদ ৪ টি- মন্ত্র সংখ্যা- ২০,৪৩৪

১.ঋগবেদ. মন্ত্রসংখ্যা- ১০,৫৮৯

২.সামবেদ. মন্ত্রসংখ্যা- ১,৮৯৩

৩.যজু:বেদ. মন্ত্র সংখ্যা- ১,৯৭৫

৪.অথর্ববেদ. মন্ত্রসংখ্যা- ৫,৯৭৭


উপবেদ ৪ টি.

১. আয়ুর্বেদ. ২.ধনুর্বেদ. ৩.গন্ধর্ববেদ. ৪.অর্থশাস্ত্র.

বেদাঙ্গ -৬ টি.

১.শিক্ষা- পাণিনী

২.কল্প- বিভিন্ন ঋষি সম্প্রদায়

৩.ব্যাকরণ- পাণিনী.

৪.নিরুক্ত- যাস্ক.

৫.ছন্দ- পিঙ্গলাচার্য.

৬.জ্যোতিষ- গর্ণ.

বেদের উপাঙ্গ-৪ টি.

১.পুরাণ. ২.মীমাংসা. ৩.ন্যায়. ৪.ধর্মশাস্ত্র

বেদের জ্ঞানকাণ্ড- ২ টি.

১.আরণ্যক. ২.উপনিষদ.

আরণ্যক - ৪ টি. ১.ঐতেরেয়. ২.কৌষীতকী ৩.শতপথ ব্রহ্মণ. ৪.ছান্দোগ্য

উপনিষদ -১২ টি.

১.বৃহদারণ্যক মন্ত্র- ৪৩৫.

২.ছান্দোগ মন্ত্র- ৬৬৮

৩.তৈত্তিরীয় মন্ত্র- ৬৮.

৪.ঐতরেয় মন্দ্র- ৩৩

৫.ঈশোপনিষ মন্ত্র- ১৮

৬.কেন উপনিষদ- ৩৫

৭.কঠো উপনিষদ- ১১৯.

৮.প্রশ্ন উপনিষদ- ৬৭

৯.মুণ্ডকোপনিষদ- ৬৫.

১০.মাণ্ডুক্যউপনিষদ- ১২

১১.শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ. মন্ত্র. - ১১৩.

১২.কৌষীতকী উপনিষদ মন্ত্র. - ৪৯.


ষড়_দর্শন -৬ টি.

১.সাংখ্যা দর্শন - মহর্ষি কপিল.

২.যোগ দর্শন- পাতঞ্জলি.

৩.ন্যায় দর্শন - গৌতম.

৪.বৈশেষিক দর্শন-কণাদ.

৫.পূর্ব মীমাংসা - জৈমিনী.

৬.উত্তর মীমাংসা বেদান্ত দর্শন- ব্যাসদেব.

মীমাংসা - ২ টি.

১.কর্ম মীমাংসা ২.ব্রহ্ম মীমাংস বা ব্রহ্মসূত্র.

স্মৃতি_সংহিতা (সমাজ ব্যবস্থাপক শাস্ত্র) ২০টি

১.মনু সংহিতা

২.অত্রি সংহিতা.

৩.বিষ্ণু সংহিতা.

৪.হরিত সংহিতা.

৫.যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা.

৬.পরাশর সংহিতা.

৭.ব্যাস সংহিতা.

৮.উশনা সংহিতা.

৯.অঙ্গিরা সংহিতা.

১০.যম সংহিতা.

১১.অপস্তম্ভ সংহিতা

১২.সম্বর্ত সংহিতা.

১৩.কাত্যায়ন সংহিতা.

১৪.বৃহস্পতি সংহিতা.

১৫.শঙ্খ সংহিতা

১৬.লিখিত সংহিতা.

১৭.দক্ষ সংহিতা.

১৮.গৌতম সংহিতা.

১৯.শতাতপ সংহিতা.

২০.বশিষ্ট সংহিতা.

পুরাণ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। 'পুরাণ' কথাটির অর্থ 'প্রাচীন'। পুরাণে আছে সৃষ্টির ইতিহাস, আর্যদের ইতিহাস, বিভিন্ন স্বর্গীয় আত্মার গল্প। বেদের ঠিক পরেই পুরাণের আবির্ভাব। মহর্ষি বৈশ্য পুরাণকে ১৮টি খণ্ডে বিভক্ত করেছিলেন। পুরাণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভবিষ্যপুরাণ। ভবিষ্যপুরাণের এই রকম নামকরণের কারণ হল এতে আছে ভবিষ্যতের নানান ঘটনাপ্রবাহের আগাম ইঙ্গিত বা ভবিষ্যদ্বাণী। ভবিষ্যপুরাণ স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী, মহর্ষি বৈশ্য একে শুধু বিভিন্ন পর্বে বিভাজিত করেছিলেন।

পুরাণ - ২ টি.

১.মহাপুরাণ. ২.উপ-পুরাণ.

মহা_পুরাণ -১৮টি.

১.ব্রহ্ম পুরাণ মন্ত্রসংখা-১০,০০০.

২.শিব পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৪,০০০.

৩.পদ্ম পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৫৫,০০০.

৪.বিষ্ণু পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৩,০০০.

৫.ভাগবত মহাপুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৮,০০০.

৬.মার্কণ্ডেয় পুনাণ মন্ত্রসংখ্যা-৯,০০০.

৭.অগ্নি পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৫,৪০০.

৮.ভবিষত পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৪,৫০০.

৯.ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৮ ,০০০.

১০.মত্‍স পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৪,০০০.

১১.লিঙ্গ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১১,০০০.

১২.বরাহ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৪,০০০.

১৩.কুর্ম্ম পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৭,০০০.

১৪.গরুড় পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৯,০০০.

১৫.ব্রহ্মান্ড পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১২,০০০.

১৬.নারদীয় পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৫,০০০

১৭.স্কন্ধ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৮১,১০১.

১৮.বামন পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১০,০০০.

রামায়ণ ও মহাভারত।


i) রামায়ণে আছে, রামচন্দ্রের কাহিনী। অধিকাংশ হিন্দু-ই এই কাহিনী সম্পর্কে অবগত।


ii) মহাভারত, যাতে আছে কৌরব ও পাণ্ডবের মধ্যকার সামন্ততান্ত্রিক জ্ঞাতি লড়াই। এতে কৃষ্ণের কাহিনীও সংযোজিত হয়েছে। মহাভারত সাধারণভাবে সমস্ত হিন্দুই জানেন।


দেবী_ভাগবত (শাক্ত সম্প্রদায়)

শ্রীমদ্ভাগবদ (বৈষ্ণব সম্প্রদায়)

চৈতন্যচরিতামৃত .

শ্রীমদ্ভাগবতগীতা মন্ত্রসংখ্যা-৭০০ শ্রেষ্ঠগ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবতগীতা হিন্দুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে পরিচিত ধর্মগ্রন্থ। এটি মহাভারতের অংশ। এতে ১৮টি অধ্যায় আছে। গীতা মূলত কৃষ্ণের উপদেশ যা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রদত্ত হয়েছিল অর্জুনের উদ্দেশে।


শ্রীশ্রীচণ্ডী .মন্ত্রসংখ্যা-৭০০

মার্কেণ্ডেয় পুরাণের ৮১ নম্বর অধ্যায় থেকে ৯৩ সংখ্যক অধ্যায়ে, দেবীমাহাত্ম্যের বর্ণনা আছে।ঐ ১৩টি অংশই 'শ্রীশ্রীচণ্ডী' ।ত্রয়োদশ অধ্যায়ে, 'চণ্ডী' বা দেবীমহামায়ার মাহাত্ম্য বর্ণনা পাওয়া যায়।


Dailyhunt

Disclaimer: This story is auto-aggregated by a computer program and has not been created or edited by Dailyhunt. Publisher: Aj Bangla TV

Related Stories


বেদ / Vedas

আমরা পূর্বেই  আলোচনা করেছি আমাদের সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থ গুলিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় শ্রুতি শাস্ত্র ও স্মৃতি শাস্ত্র।

এই গ্রন্থগুলিতে আলোচনা হয়েছে। ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও পুরাণ এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে। 

এই গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

আজ আমরা বেদ সমন্ধে আলোচনা করবো। 

প্রথমেই  জেনে নেবো  বেদ কী ?

বেদ' শব্দটি এসেছে সংস্কৃত 'বিদ' ধাতু থেকে, যার অর্থ জানা। তাই 'বেদ' শব্দটির অর্থ 'সর্বোত্তম জ্ঞান'। 

বেদকে চারভাগে ভাগ করা হয়। 

 যথা;-

  1.  ঋক্, 
  2. সাম, 
  3. যজুঃ, 
  4. অথর্ব।
ভারতীয় দর্শনের  বিভিন্ন সম্প্রদায় বেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ কোরেছেন। এই মাতানাসুরে তাদের মূলত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় যথা ;-

  1. "আস্তিক" - আস্তিক হলো যারা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে এবং বেদকেই তাদের শাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে। 
  2. "নাস্তিক" নাস্তিক হলো যারা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয় বলে মনে করে।  
 বলে রাখা ভালো আস্তিক বা নাস্তিক যাই বলো আমরা আমাদের যুক্তিযুক্ত চিন্তার  বাইরের কিছুই বিশ্বাস করিনা এটাই আমাদের সভাবগত বৈশিষ্ট। 

যদি বর্তমান সময়ের পরিপেক্ষিতে আস্তিক অথবা নাস্তিক কথার আলোচনা করা হয় তবে যে নিষ্কর্ষ পাওয়া যাবে  তা হলো , আমরা অথবা আমাদের প্রজন্ম কিছুই দেখিনি কিন্তু আমাদের ধর্ম গ্রন্থে যা উল্লেখ  তা সম্পূর্ণই আমাদের পূর্ব পুরুষদের অভিজ্ঞাতার ভিত্তিতেই লিপিবদ্ধ হয়েছে। 

তাই আমরা যদি আস্তিক এবং  নাস্তিক বিতর্ক ছেড়ে আমাদের ধর্ম গ্রন্থের জ্ঞান আয়ত্ব করি তাহলে আমাদের জীবন পথ সম্পূর্ণ রূপে সুগম ও সমৃদ্ধশালী হয়েউঠবে। 

কেননা হাজার হাজার বছর ধরে হাজারো বিতর্কের মধ্যে অস্তিতে রয়েছে তাতে নিশ্চয় কোনো না কোনো ক্ষমতা নিশ্চয় রয়েছে। 

যা সমন্ধে আমরা পরের ব্লগ বেদ  আলোচনাতে দেখবো , এত সময়  সঙ্গে দেবার জন্য ধন্যবাদ। 

শ্রুতি শাস্ত্র ও স্মৃতি শাস্ত্র / Shruti Shastra and Smriti Shastra

 আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি আমাদের হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নাই অনাদি কাল থেকে পরম্পরা ক্রমে চলে আসছে। হিন্দুধর্মকে বিশ্বের 'প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস' বা 'প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ' বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

হিন্দু ধর্ম গ্রন্থকে প্রধান দুই ভাগে শ্রীনি বিন্যাস করা হয় 

  1. শ্রুতি শাস্ত্র
  2. স্মৃতি শাস্ত্র
এখন প্রশ্ন আশে শ্রুতি শাস্ত্র  কি ?

  শ্রুতি : 'শ্রুতি' শব্দের অর্থ— যা শ্রবণ করা যায় এবং যা উপলব্ধি করা যায়। শ্রুতি সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। শ্রুতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

 যথা :-

  1. বেদ, 
  2. উপনিষদ। 
এই দুটি গ্রন্থকে ঐশীগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এখন প্রশ্নঃ আশে  স্মৃতি শাস্ত্র কি ?

স্মৃতি : 'স্মৃতি' শব্দের অর্থ  যা মনে রাখা হয়। শ্রুতির মত স্মৃতি অত প্রাচীন গ্রন্থ নয়। 'স্মৃতি'কে ঐশীগ্রন্থ হিসেবেও বিবেচনা করা হয় না। 

তবুও আজ হিন্দুদের মধ্যে 'স্মৃতি' সবচেয়ে জনপ্রিয়। 'স্মৃতি' মানুষের লেখা। স্মৃতির মধ্যে উল্লেখ আছে 

  1. হিন্দুর জীবনবিধান 
  2. ও ধর্মাচরণের পদ্ধতি লিপিবদ্ধ আছে। 
স্মৃতি তাই ধর্মশাস্ত্র রূপে পরিচিত। স্মৃতিকে আবার দুভাগে ভাগ করা হয়।  

 যথা;-

  1. পুরাণ 
  2. ও মহাকাব্য।



পর্ব - নং ০৬ সর্গ বলতে কি বোঝায় ?

যেমনটা আমি পঞ্চম পর্বে  প্রতিশ্রুতি দিয়েচলাম সর্গ , নরক  এবং পাতাল সমন্ধে আলোচনা করবো বলে , প্রথমেই  আলোচনা করবো সর্গ সমন্ধে।  সর্গ  বলতে কি...