মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

Hinduism / হিন্দু ধর্ম


হিন্দুধর্মকে  সনাতন ধর্ম ও বলা হয়ে থাকে , " সনাতন ধর্ম " কথার অর্থ হলো তিহ্যবাহী ধর্ম  যা  হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্বীয় ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম বলে থাকেন । 

হিন্দুধর্ম আজ প্ৰায় সারা পৃথিবীব্যাপী সরিয়ে আছে । এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। অনাদি কাল থেকে এই পরম্পরা চলে আসছে। হিন্দুধর্মকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। কারণ এটি প্রাচীনযুগে আর্বিভূত হয়েছে।এবং ধর্মাবলম্বীরা একে সনাতন ধর্ম  বা  চিরন্তন পথ বলে থাকে। 

আলোচকেরা  হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের  সংমিশ্রণ এবং সংশ্লেষণ হিসেবে গন্য করেন, যার মূলে  বহু  ব্যাক্তিত্ব এবং একাধিক উৎপত্তি উৎস রয়েছে।

এটি সনাতনি বা চিরন্তন কর্তব্যের কথা যেমন 

  • সততা, 
  • অহিংসা,
  •  ধৈর্যশীলতা, 
  • সমবেদনা 
  • ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আরো অনেক মানবিক উতৃকৃষ্ট  উপায়ের কথা বলা হয়েছে।  
  • এবং বাহ্যিক আচার বিচারের থেকে পরম সত্যের জ্ঞানকে সর্বদাই মুখ্য স্থান দাওয়া হয়েছে। 
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বহুবিধ বিষয় আছে যা মানব জীবনের সঠিক উদ্দেশ্য পূর্তি করতে সাহায্য প্রাদো হয়ে থাকে এর মধ্যে আছে ;-

  • ধর্ম 
  • অর্থ 
  •  কাম 
  • মোক্ষ 
 হিন্দুদের নিত্যকর্মের তালিকায় আছে পূজা, অর্চনা, ধ্যান, পারিবারিক সংস্কার , বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং তীর্থযাত্রা। 

কেউ কেউ সমাজ ও সভ্য জগতে পার্থিব সুখ ছেড়ে পারমার্থিক শান্তির আশায় ও মোক্ষ লাভের উদ্দেশ্যে সন্ন্যাস গ্রহণ করে।

হিন্দুধর্মের শাস্ত্রগ্রন্থের সংখ্যা প্রচুর যাহাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। 

  •  শ্রুতি শাস্ত্র 
  • ও স্মৃতি শাস্ত্র 
এই গ্রন্থগুলিতে আলোচনা হয়েছে। 
  • ধর্মতত্ত্ব, 
  • দর্শন 
  • ও পুরাণ  
  • এবং ধর্মানুশীলন সংক্রান্ত নানা তথ্য বিবৃত হয়েছে।
 এই গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ সর্বপ্রাচীন, সর্বপ্রধান ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। 
অন্যান্য প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলি হল :
  • উপনিষদ্‌, 
  • পুরাণ, 
  • ও ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত। 
মহাভারতের কৃষ্ণ-কথিত একটি অংশ ভগবদ্গীতা বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে।

এর পরের  ব্লগে আমরা আলোচনা করবো বেদ সমন্ধে এবং বেদ আলোচনা পরের ব্লগ গুলিতে উপনিষদ্‌, পুরাণ, ও ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত সম্বন্ধে  আলোচনা করবো। 

আজকের মতো এই প্রজন্তই কথা হবে পরের ব্লগে , এত সময় সঙ্গে দেবার  জন্য ধন্যবাদ।


Religion / ধৰ্ম


 প্রথমেই বলেছি আমাদের পূর্ব পুরষদের জীবন অভিজ্ঞাতার ভিত্তিতে জীবন চার্চার পথনির্দেশিকা  তৈরি কোরেছিলেন  যাকে আমরা ধর্ম গ্রন্থ বলে থাকি।  

এখন মনে প্রশ্ন জগতে পারে ধর্ম কি ?   

ধর্ম শব্দটি আসে সংস্কৃত √ধৃ হতে। এই √ধৃ -এর অর্থ 'ধারণ'। 'একজন ব্যক্তি তার জীবনে তার যত প্রকার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সব মিলিয়ে হয় তার ধর্ম।' তার বিশ্বাস, তার পরম্পরাগত শিক্ষা, তারা আচার ব্যবহার ইত্যাদি এই সবই তার ধর্ম। যেভাবে আগুনের ধর্ম পুড়িয়ে দাওয়া , জলের ধর্ম শীতল করা , পশুর ধর্ম পশুত্ব, তেমনি মানুষের ধর্ম হয় মনুষত্ব।

আমার এখানে অন্যান্য সব গুলি উদাহরণ গুলি বুঝতে পারছি যেমন আগুন এর ধর্ম পুড়িয়ে দাওয়া , জালের ধর্ম শীতল করা, পশুর ধর্ম পশুত্ব কিন্তু মানুষের ধর্ম মানুষত্ব কি ? 

আমাদের ধর্ম গ্রন্থে এই কথাই উল্লেখ আছে মানুষএর  মানুষত্ব কি ?

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে আমার এই ব্লগের সঙ্গে থাকতে হবে আমার শেষ ব্লগ প্রজন্ত যা আমি প্রতিদিন আকর্ষিত ভাবায় আপনাদের কাছে তুলায়দাবার চেষ্টা করবো ।. 

সংক্ষেপে যদি আপনি  জানতে চান তবে বলবো যাহার মাধ্যমে আমাদের এবং  ভবিষৎ প্রজন্ম কোনো  ক্ষতি না হয় তাকাই মানুষত্ব বলা যাতে পারে।  কিন্তু এ কথা বলে রাখা ভাল যে একটি বাক্য দ্বারা কখনই মানুষত্ব শব্দের অর্থ প্রকাশ করা সম্ভব নয় । 

আরো একটা কথা বলে রাখিছি  এ পৃথিবীর বিভিন্ন এস্থানে  বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে তারা তাদের সেই এস্থানে ভিন্ন ভিন্ন  ধারণার ধর্ম গ্রন্থ তৈরি করেছে যেমন :

১. ইব্রাহামীয় ধর্মসমূহ

  • ইসলাম ধর্ম
  • খ্রিস্ট ধর্ম
  • ইহুদি ধর্ম
  • বাহাই ধর্ম
২.ভারতীয় ধর্মসমূহ
  • হিন্দু ধর্ম
  • শিখ ধর্ম
  • বৌদ্ধধর্ম
  • জৈন ধর্ম
৩.চৈনিক, কোরীয়, জাপানি ধর্মসমূহ
  • কনফুসীয় ধর্ম
  • শিন্তো ধর্ম
  • তাও ধর্ম
এছাড়াও আরো বহু ছোট ছোট আঞ্চলিক ধর্ম সমূহ রয়েছে। 

তাহলে আজ আমরা দেখলাম 
  • ধর্ম কাকে বলে /
  • মানব ধর্ম বা মানুষত্ব কি ?
  • পৃথিবীর প্রধান ধর্ম গুলির নাম কি কি ?
এর পড়ার ব্লগে আমরা আলোচনা করবো হিন্দু ধর্ম এবং ধর্মের ইতিহাস, আজ তাহলে এ প্রজন্তই কথা হবে পড়ার ব্লগে। 


সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

পর্ব - নং ০২- গণেশ বন্দনা [Ganesha worship ]


 যেকোনো কাজ শুরু করার আগে গনেশ বন্দনা করার নিয়ম আছে , তাই আজ গনেশ বন্দনা দিয়েই শুরু করছি। 
গণেশ পূজা মন্ত্র:
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।
ধ্যান মন্ত্র:
ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং,
বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।
গণেশ বন্দনা:
বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন।
নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।।
সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে।
অগ্রেতে তোমার পূজা করিনু যতনে।।
নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি।
মাতা যার আদ্যাশক্তি দেবী ভগবতী।।
সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান।
বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।।
ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ।
বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।
মন্ত্রঃ – ওঁ গাং গণেশায় নমঃ।


এই ব্লগে আর অন্য কিছু লিখিছি না শুধু গনেশ বন্দনা করেই সমাপ্ত করছি।  আমার এই প্রচেষ্টা কেমন লাগলো কমেন্ট আর মাধ্যমে জানাবেন কোনো ত্রুটি থাকে থাকলে আমি তা সমাধানের চেষ্টা করবো 

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

পর্ব - নং ০১ - জীবনের পথ ব্লগ সম্পর্কে পরিচিতি - [ Introduction About Pathways of Life ( Bengali ) ]


নমস্কার 
আমাদের ব্লগ জীবনের পথ  বা Pathways of Life এ আপনাকে স্বাগত জানাই আমি মিঠুন সিকদার।
আজ শুধু এই ব্লগ এর উদ্দেশ্য সমন্ধে কিছু তথ্য বলবো।

প্রথমেই বলি এই ব্লগ আপনার জীবনে  নতুন করে সুখ সমৃদ্ধি এনে দেবে।আপনাকে আপনার জীবন আরো সমৃদ্ধ সালি করতে সাহায্য করবে। 

আজকের সমাজ এতটাই ব্যাস্ত যে তারা সফলতার উদ্দেশে ছুটে ছুটে তারা জীবনের এমন  বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন যা তারা এ জীবনে সমাধান করতে সামর্থ হননা।

পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তারা ভালো কিছু দিয়ে যেতে পারে না।হয়তো টাকা পয়সা ধান দৌলত সবই দিয়ে যান কিন্তু জীবন চলার পথ চিনিয়ে যাতে পারে না তাই তারা সব পেএও সব হারিয়ে তারা শুন্য হতে বাধ্য হন।

আমাদের পূর্ব পুরুষরা অতি প্রাচীন কাল থেকে তাদের জীবন অভিগতার উপর ভিত্তি করে আমাদের অজস্র কথা ও কাহিনী বলে গেছেন যা আমাদের ধর্ম গ্রন্থ রূপে আমরা পেয়েছি।এক কথায় বললে চলে আমাদের ধর্ম গ্রন্থ হলো আমাদের জীবনচর্চার ব্যাবহারিক পথনির্দিশকা।
যাহার মধ্যে অন্য তাম ভগবাদ গীতা কেননা এই গ্রন্থে রয়েছে হিন্দু ধর্ম কথার মূল সার, যাহা আমাদের  জীবন চলার পথ স্বাচ্ছন্দময় করে তোলে , অনেকে মনে করেন ভাগবদ গীতা পাঠ করলে আর অন্য কিছু পাঠ না করলেও চলে ,কিন্তু সব কিছুর কিছু অভিন্ন বিশেষত্ব রয়েছে।

আজ গীতা গ্রন্থ কিংবা অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কিনে আনার সামর্থ সবার আছে কিন্তু পাড়ার সময় নাই কেননা তাতে অনেক বিস্তর আলোচনা থাকে ।তাই আমার এই প্রচেষ্টা এই ব্লগটি  এর মাধ্যমে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে আমাদের ধর্ম গ্রন্থের ছোট  থেকে ছোট  গল্পগুলি আকর্ষিত ভাবে আপনাদের কাছে তুলে ধরতে যার মাধ্যমে আমাদের প্রজন্ম এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন পথ সুগম হবে। আশা করছি আমার এই প্রচেষ্টা আপনাদের ভালো লাগবে।কোনো ত্রুটি থাকলে জানাবেন যার মাধ্যমে আমি সেই ত্রুটি সমাধানের চেষ্টা করবো।


সব শেষএ আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা সবাই অংশ গ্রহণ করে, এবং বেশি বেশি শেয়ার এর মাধ্যমে আমাদের আধুনিক প্রজন্মকে  সঠিক জীবনপথ  নির্বাচনে সাহায্য করুন। আর আমার  ব্লগএ  নতুন হলে  ব্লগটি ফলো  করুন।

এত সময় সঙ্গে থাকার জন্য  আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।



 



পর্ব - নং ০৬ সর্গ বলতে কি বোঝায় ?

যেমনটা আমি পঞ্চম পর্বে  প্রতিশ্রুতি দিয়েচলাম সর্গ , নরক  এবং পাতাল সমন্ধে আলোচনা করবো বলে , প্রথমেই  আলোচনা করবো সর্গ সমন্ধে।  সর্গ  বলতে কি...